বড়হাটের যোগাযোগ বিছিন্ন: আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন অনেকে

প্রকাশঃ মার্চ ৩১, ২০১৭ সময়ঃ ৫:১৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:০৫ অপরাহ্ণ

মাহমুদ এইচ খান, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

যান চলাচল বন্ধ থাকায় বড়হাট এলাকায় পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন বরযাত্রী

জঙ্গি আতঙ্কের কারণে টানা তিনদিন ধরে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে বড়হাটবাসী। মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বড়হাট এলাকার স্থানীয়রা কয়েকদিন  ধরে যোগাযোগ বিছিন্নও রয়েছেন।

গত বুধবার ভোরে এই এলাকায় একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। পরে বাসাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘিরে রাখে।

এরপর জঙ্গি প্রবণ এলাকা হিসেবে এই এলাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পুলিশ। পরে আবার চালু করে দিলেও কাউকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছেনা বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, এই এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে পারছেনা। রাস্তাঘাটে কাউকে চলাচল করতেও দিচ্ছেনা পুলিশ।

গুলি আর বোমার উচ্চ শব্দে  কিছুক্ষণ পর পর কেঁপে উঠছে এই এলাকা। যার ফলে ভীত-স্বন্তস্ত্র হয়ে  পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন অনেকে।

প্রবাসী অ্ধ্যষিত এই এলাকাটিতে অনেক বাড়ি এখন পুরুষশূণ্য। তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ ফুরিয়ে গেলে আনতে পারছেন না। যার ফলে অনেকেই না খেয়ে আছেন বলেও অভিযোগ করেন।

ইতালি প্রবাসী বাছিত মিয়ার স্ত্রী আফসানা আঞ্জুমান জানান, ‘ভয়ে গা ছমছম করে যখন গুলির শব্দ শুনি। জঙ্গিদের জন্য এলাকার  মোবা্ইল নেটওয়ার্ক বিছিন্ন।কারো সাথে যোগাযোগ করতে

আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন অনেকে

পারছি না।

নাইমুল ইসলাম নামের এক পথাচারি জানান, এলাকায় প্রচন্ড ঝুকি রয়েছে। যে শব্দ করে বোমা বিস্ফোরিত হচ্ছে। আমার অসুস্থ মাকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছি।

ভোগান্তিতে পড়েছেন বরযাত্রীরাও।  দুপুরে দেখা যায় এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্টানে ১০/১২জন বরযাত্রী নিয়ে বর পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন বৌ আনতে।

সেসময় তারা বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব অভিযান শেষ করে আমাদের মুক্তি দেওয়া হোক। মানুষজন খুবই কষ্টে আছেন’।

এদিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাড়িটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা রয়েছে। অভিযান শেষ হতে সময় লাগবে।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/রাহ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G